(দুদক) দুর্নীতি দমন কমিশনের আলোচিত কর্মকর্তা মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন তার সহকর্মীরা। তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানানো হয় মানববন্ধন থেকে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পর দুদক কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা অভিযোগ করেন, স্বাধীন সংস্থা হলেও দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তারা নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। যার বলি হয়েছেন উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দীন। তারা দাবি করেন, চট্টগ্রামে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৫২টি মামলা করায় তাকে বদলি করা হয়েছিল পটুয়াখালীতে।
এর আগে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করেন তারা।
রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া এবং ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তিসহ অনিয়মের বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত করে আলোচনায় আসা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। জীবননাশের হুমকি পাওয়ার ১৬ দিনের মাথায় চাকরি খোয়ালেন শরীফ।
গত ৩০ জানুয়ারি প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন শরীফ উদ্দিন। ১৬ ফেব্রুয়ারি তাকে চাকরিচ্যুতির আদেশ দেয় দুদক। বুধবার দুদক কার্যালয় থেকে তাকে চাকরি থেকে অপসারণের প্রজ্ঞাপনও জারি হয়।
এতে বলা হয়, প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকে তার অপসারণের আদেশ কার্যকর হবে এবং বিধি অনুযায়ী তিনি ৯০ দিনের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
শরীফ গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, তাকে কোনো ধরনের ‘কারণ দর্শাও নোটিশ না দিয়ে’ অপসারণ করা হয়েছে, যেটি ‘অসাংবিধানিক’। তিনি ‘প্রভাবশালী মহলের’ রোষানলের শিকার বলে দাবি শরীফ উদ্দিনের।