বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করা হয় পরার্মশক কমিটির পক্ষ থেকে।
এর আগে, বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৫৬তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৪টি সুপারিশ গৃহীত হয়।
সুপারিশগুলো হলো:
১. বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের হার বর্তমানে নিম্নমুখী। এই নিম্নমুখী গতি একইভাবে অব্যাহত থাকার বিবেচনায় কমিটি আগামী ২২শে ফেব্রুয়ারি থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বশরীরে ক্লাস শুরু করার সুপারিশ করে। শিক্ষার্থীদের দুই ডোজ কোভিড ভ্যাক্সিন সম্পন্ন করা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়েও কমিটি গুরুত্ব আরোপ করে। তবে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইনে পরিচালনা অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়। পরিস্থিতির আরও উন্নয়ন সাপেক্ষে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর ক্লাস স্বশরীরে শুরু করার বিষয় পরবর্তীতে বিবেচনা করা যেতে পারে।
২. কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক স্বীকৃত কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ সম্পন্ন করার ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়া বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কোভিড টেস্ট ছাড়া বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া যেতে পারে। ভ্যাকসিনের ডোজ সম্পন্ন করেনি এমন ব্যক্তিদের ভ্রমণ শুরুর পূর্বের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
৩. সকল বহির্গামী যাত্রীদের জন্য টেস্ট বাধ্যতামূলক না করে যে দেশে যাবেন অথবা যে এয়ারলাইন্সে ভ্রমণ করবেন, তাদের চাহিদা অনুযায়ী আরটি পিসিআর টেস্ট এর বিধান রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। তবে, যাত্রীর কাছে তার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রাপ্তির সনদ থাকা বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। এয়ারলাইন্সসমূহ এ সংক্রান্ত প্রমাণাদি নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করতে পারে।
৪. সংক্রমণের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকল ক্ষেত্রে শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের সুপারিশ করা হয়।